বগুড়ায় প্রেমের টানে দ্বিতীয় বিয়ে, অবশেষে মহাসড়কে মিলল লাশ

Oplus_131072

বগুড়ার শেরপুরে প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে যাওয়া তরুণী গোলাপি বেগমের (২৮) লাশ উদ্ধার করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

গত শুক্রবার সকালে শাহজাহানপুর ও শেরপুরের মাঝামাঝি ফারহানা ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত গোলাপি কাফুরা পূর্বপাড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গোলাপির প্রথম বিয়ে হয়েছিল স্থানীয় এক যুবকের সাথে, তাদের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান। পরে একই উপজেলার টাউন কলোনী এলাকার বিবাহিত যুবক ইমন নামে এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

গোলাপিকে প্রথমে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন ইমন। পাঁচ দিন পর গোলাপির পরিবার তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। কিন্তু কিছুদিন পর পুনরায় গোলাপিকে ভাগিয়ে নিয়ে যায় ইমন। এ ঘটনায় গোলাপির পিতা ইকবাল শেরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

গত দুই মাস হলো তারা ফারহানা ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে। তবে সম্প্রতি ইমন ও তার প্রথম স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় গোলাপির সাথে তার স্বামী ইমনের ঝগড়া বিরোধ বাড়তে থাকে। প্রায়ই গোলাপিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করত ইমন বলে অভিযোগ করেছেন গোলাপির চাচা জিয়াউর রহমান।

গত শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা মহাসড়কের পাশে ক্ষতবিক্ষত এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পরে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবার তাহার নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন করেন।

হাইওয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রইচ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকার অনেকেই বলছে এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।