সিরাজদিখানে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অনশন!

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বিয়ের প্রলোভনে বিথি আক্তার (৩১) নামে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা করে প্রতিকার না পেয়ে বিয়ের দাবী ও স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে অভিযুক্ত স্বাধীন শেখের (৩২) বাড়ীতে টানা দুই দিন ধরে অনশন করছেন ভুক্তভোগী বিথি আক্তার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিথির স্বামী প্রায় সাত বছর আগে মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি তার একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে পিত্রালয়ে বসবাস করছেন। প্রায় চার বছর আগে প্রতিবেশী স্বাধীন শেখের সাথে বিথির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ভুক্তভোগী বিথির অভিযোগ, অভিযুক্ত স্বাধীন শেখ তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ১৬ জুলাই রাত অনুমান সাড়ে ১১টার দিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মধ্যপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত বিথির পিত্রালয়ের একটি বসত ঘরে গিয়ে পুনরায় তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ীর লোকজন ও স্থানীয়রা গিয়ে ঘরে শিকল দিলে স্বাধীন শেখ কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

পরে বিথি ও তার পরিবারের লোকজন স্বাধীন শেখের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলে স্বাধীন শেখ তা প্রত্যাখ্যান করেন। এ নিয়ে কয়েক মাস আগে স্থানী ভাবে বিচার শালিশ করা হলে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি সুরাহা করতে না পেরে ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন।

এদিকে মামলা করার পরও কোনো সমাধান না পাওয়ায় বিথি গত দুই দিন ধরে স্বাধীন শেখের বাড়িতে বিয়ের দাবি ও স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে অনশন করছেন। তিনি বলেন, “আমাকে স্বাধীন বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করে। সে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে এ পর্যন্ত ৬ লাখ টাকা নিয়ে এখন সে আমাকে অস্বীকার করে। যেহেতু তার কারণে আমার মানসম্মান গেছে। সেহেতু তাকেই আমার বিয়ে করতে হবে। আমি স্ত্রীর অধিকার আদায়ে দুদিন ধরে স্বাধীনের বাড়ীতে অনশন করছি।

বিথির পিতা আনিছ তালুকদার বলেন,“আমার মেয়ের সাথে সে প্রতারণার করে আমার মেয়ের জীবন ধ্বংস করেছে। আমি এর সমাধান চাই।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি এলাকাজুড়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বিথির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত স্বাধীন শেখের পরিবারের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী বিথির চরিত্র নিয়ে প্রতিবেদকের কাছে বিরূপ মন্তব্য উপস্থাপন করে উল্টো তার উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হয়।