নবাবগঞ্জে দুই কি.মি দৌড়িয়ে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টার আসামি ধরলো পুলিশ

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন ও দৈনিক আমাদের সময়ের স্থানীয় প্রতিনিধি সাংবাদিক নাজমুল হোসেন অন্তরকে হত্যা চেষ্টায় কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় এজাহারকৃত আসামি বিপ্লবকে (২৭) গ্রেফতার করেছেন নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।

আজ বুধবার (১৪ মে) দুপুরে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম সংবাদকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আসামি বিপ্লব উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের নূর নগর এলাকার শামীম চৌকিদার ওরফে আক্কেল চৌকিদারের ছেলে।

এ ব্যাপারে এস আই লিয়াকত বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আমরা গোপন সূত্রে খবর পাই আসামি বিপ্লব বান্দুরা বাজারে চুল কাটাচ্ছেন। পরে তাকে ধরতে আমি এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মনিরুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স বান্দুরা এলাকায় যাই। আমাদের দেখে বিপ্লব দৌড় দেয়। পরে আমরা প্রায় দুই কিলোমিটার দৌড়িয়ে বিপ্লবকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
তিনি আরো জানান, এসময় বিপ্লবের হাতে একটি দেশি অস্ত্র চাপাতি ছিলো যা দিয়ে তিনি আমাদের উপর আক্রমণ করতে আসেন। পরে আমরা স্থানীয় জনতার সহায়তায় তার কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করি।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক নাজমুল হোসেন অন্তরের বাবা বাদী হয়ে মামলা করার পর আমরা বেশ কয়েকটি অভিযান করি। শুরুতেই ঘটনার সাথে জড়িত থাকা চপলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। তার কথার উপর ভিত্তি করে আমরা কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ইখতিয়ার ওরফে মাইজা কাকাকে গ্রেফতার করি। মাইজা কাকাই ছিলো ঘটনার মাস্টার মাইন্ড। তিনি আরো বলেন, আনন্দের বিষয় বিপ্লবকে গ্রেফতার করার মাধ্যমে আমরা চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারকৃত সকল আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তবে এর সাথে আরো কেউ জড়িত রয়েছেন কিনা সে বিষয়েও তদন্ত হচ্ছে। বিপ্লবের বিরুদ্ধে দোহার ও নবাবগঞ্জ থানায় মাদক, ডাকাতি, হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিক নাজমুল মোটরসাইকেলযোগে দোহার উপজেলার একটি নিউজ প্রোগ্রাম ও ওয়াজ মাহফিলের প্রোগ্রাম শেষে নিজ বাড়ি খানেপুর যাওয়ার পথিমধ্যে ডাকাতবাড়ি (রাহুতহাটি) নামক সেতুর উপরে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, পায়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিক নাজমুলের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল, নগদ টাকা নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে সাংবাদিক নাজমুল হোসেন অন্তরের বাবা বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।