মানিকগঞ্জের যমুনায় অবৈধ বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে তারখাম্বা

মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলায় যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে যা অচিরেই উপরে পড়তে পারে। খবর পাওয়া যাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালী একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার ও অন্যান্য যন্ত্র ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করছে, যা পরিবেশ ও জনপদের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদী তীরবর্তী এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে এবং ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনে জড়িতদের আটক ও সরঞ্জাম জব্দ করলেও, এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা যাচ্ছে না।
কিছু সংবাদে এও প্রকাশিত হয়েছে যে, বালু উত্তোলনের ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত এবং তাদের মধ্যে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা বা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এই অবৈধ বালু উত্তোলন অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে, পরিবেশ ও জনপদের উপর এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন মাঝরাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বাল্বহেড ড্রেজার ও কাটার মেশিন ব্যবহার করে বালু তোলা হচ্ছে। এখন বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধির ফলে এমনিতেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। তার ওপর বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড় আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে।

যমুনার বুকে সারি সারি তারখাম্বা। একটি তারের সাথে আর একটি জুড়ে দিয়ে এ লাইনের বিদ্যুত গেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। জাতীয় গ্রিডের ৩৩ হাজার কিলো ভোল্টের সঞ্চালন লাইন এটি। ইতোমধ্যে তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসীর জন্যে। যে কোনো সময় ধ্বসে পড়তে পারে এসব টাওয়ারের একাধিক,কারণ এই টাওয়ারের তলদেশ থেকে ইতোমেধ্যে মাটি সরে গেছে-এমন ধারণা করা হচ্ছে। আর তাতেই মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এলাকাবাসী। গেল ক’মাস ধরে টানা বালু তোলার ফলে এমন সম্ভাবনাই দেখা দিয়েছে। এসব কথা বেশ জোড়েশোরেই বললেন যমুনা কাছের চড়ের গ্রামের হাজারো বাসিন্দা।

এলাকাবাসী জানান, এসব খাম্বার একটি দুটি যদি যমুনা গর্ভে ধ্বসে পড়ে তাহলে যে ভোগান্তির জন্ম হবে তা সহজেই বুঝা যাচ্ছে। সুতরাং বড় ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে বালু তোলা বন্ধের দাবি তাদের। এ বিষয়ে প্রশাসনের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।